Header Ads

চাটখিলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্র“পে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি, পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর, আহত ২০

প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী) ঃ নোয়াখালীর চাটখিলে আধিপত্য বিস্তারকে
কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও চাটখিল পৌরসভার মেয়র
বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল গ্র"পের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় গ্র"পের কম পক্ষে ২০জন আহত হয়েছে। এ সময় আনোয়ার গ্র"পের কর্মীরা
পৌর মেয়রের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে চাটখিল পৌর শহরে। মেয়র কার্যালয় ভাংচুরের
ঘটনায় চাটখিল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা যায়, ১৮দল আহুত অবরোধের চতুর্থ দিন গতকাল মঙ্গলবার সকালে অবরোধের
পক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর সভার
আনিতাস পেট্টল পাম্প চত্তরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র
করে আনোয়ার গ্র"প ও মেয়র গ্র"পের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনাকে
কেন্দ্র করে দু'গ্র"পের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ
চলাকালীন সময়ে উভয় গ্র"পের কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, জিআই
পাইপ, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে ও দুই রাউন্ড
ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক দেখা দিলে দোকানপাট
বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সঘর্ষে মেয়রের ছোট ভাই বিএনপি কর্মী আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক
দল কর্মী নূর মোহাম্মদ ফয়সাল (২৩), মোঃ ইলিয়াছ হোসেন (২০), মাওঃ জাবেদ
(৩৫), ছাত্রদল নেতা ইউসিুফ নবী বাবু, তৌফিক, ফয়সাল সহ কমপক্ষে ২০জন আহত
হয়। আহতেদের চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আনোয়ার গ্র"পের নেতা কর্মীরা চাটখিল পৌরসভা মেয়রের
কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। মেয়র মোস্তফা কামাল জানান,
সাবেক যুবদল সভাপতি আলাউদ্দিন ভূঁইয়া ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক
ইউসুফ নবী বাবুর নেতৃত্বে তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে।
আলাউদ্দিন ভূঁইয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন মেয়রের ছেলে জুয়েল ও তার
ভাইরাই এ ঘটনার জন্য দায়ী। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার
হোসেন বলেন, সকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্ত্র করে দলীয়
নেতা কর্মীদের মাঝে হট্টগোল দেখা দিলে আমি তা সমঝোতা করে বাড়ি চলে আসি,
পরে কি হয়েছে তা আমি জানি না।
চাটখিল পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় পৌর সচিব আলতাফ হোসেন বাদী
হয়ে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। চাটখিল থানার ওসি ইব্রাহীম খলিল
ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

No comments