Header Ads

চাটখিলে সন্তানের খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

চাটখিলে সন্তানের খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা:
উপজেলার ২নং রামনারায়ন পুর ইউনিয়নের পাঁচঘরিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা
আবুল খায়ের তার ছেলের খুনিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে বিপাকে
পড়েছেন।খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না ।
মামলা প্রত্যাহারের জন্য খুনি-সšত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বিভিন্ন
ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের
সবাইকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে খুনি-সন্ত্রাসীরা।সন্ত্রাসীদের
ভয়ে মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে
বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,গত ১২ জুন দুপুরে মাধব পুর গ্রামের সন্ত্রাসী
বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের ছেলে বজলুর
রহমান লাভলুকে(৩৩) ইয়াছিন হাজীর বাজার থেকে অপহরণ করে লক্ষীপুরের চৌপল্লী
নিয়ে যায়।সেখানেু লাভলুকে আটক রেখে বাচ্চু তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা
দাবি করে। দাবিকৃত টাকা পরের দিন সকালে পরিশোধ করার লিখিত অঙ্গিকার নামা
নিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ছোবহান পুর
বাজারে মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের ছেলেদের সাথে সন্ত্রাসী বাচ্চুর কথা
কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাচ্চু ও তার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধার ছেলেদের
এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিতে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে দুলাল হোসেন (৪৫), আবদুল
কুদ্দস(৩৭) ও বজলুর রহমান লাভলু(৩৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ২ দিন
পর ঢাকা মেডিকেলে লাভলু মারা যায়। দুলালের অবস্থা আশংকাজনক। তিনি ঢাকার
একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল
খায়ের বাদী হয়ে গত ১৬ জুন খুনিদের আসামি করে চাটখিল থানায় হত্যা মামলা
দায়ের করেন।মামলা নং ১১। কিন্তু মামলার এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ খুনি
সন্ত্রাসী দের গ্রেফতার করছে না।খুনি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর
অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাচ্চু আবুল খায়েরকে বিভিন্ন
ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের জানান , খুনি সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে
বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। খুনিরা তাকে মামলা প্রত্যাহারের
জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে তার পরিবারের সবাইকে
হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাই তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন আতংকে পালিয়ে
বেড়াচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় ও মুক্তিযোদ্ধা
মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে
যোগাযোগ করলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
খুনিরা গা-ঢাকা দিয়েছে। আমরা তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

গুলজার হোসেন সৈকত
চাটখিল, নোয়াখালী

No comments