Header Ads

চাটখিলে ভূয়া ডাক্তার আটক ৬ মাসের কারাদন্ড জরিমানা

প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী):
গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে চাটখিলে ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশ যৌথ অভিযান
চালিয়ে পৌর সদরের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় চাটখিল ডায়াবেটিস
এন্ড প্যাথলজি সেন্টার থেকে মো: জুলফু মিয়া ফিরোজ (৫০) নামের এক বূয়া
ডাক্তারকে আটক করেছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো: চাহেল তস্তরী তার কার্যালয়ে
আদালত বসিয়ে ভূয়া ডাক্তারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬মাসের কারাদন্ড
দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মাহুতলা গ্রামের মৃত মমতাজ মিয়ার
ছেলে জুলফু মিয়া ফিরোজ ১৯৯৮ সনে ডা: এম এ নোমান-এর বনহজ ক্লিনিকে ও
পরবর্তীতে শিশু ডা: মো: শাহাদাত হোসেন রতনের চাটখিল শিশু হাসপাতালে
ওয়ার্ড বয়ের চাকুরী নেন। সেখানে কয়েক বছর চাকুরী করার পর তিনি ডাক্তার
বনে যান। চাকুরী ছেড়ে তিনি স্বঘোষিত ডাক্তার সেজে প্রথমে চাটখিল উপজেলা
শহরের দক্ষিণ বাজারে এবং পরবর্তীতে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়
চাটখিল ডায়াবেটিস এন্ড প্যাথলজি সেন্টার দিয়ে তাতে তিনি ডাক্তার হিসাবে
নিয়মিত রোগীদের অপচিকিৎসা প্রদান এবং ডায়াবেটিস ও রক্তের বিভিন্ন জটিল
পরীক্ষার নামে গত এক যুগের ও বেশী সময়ধরে প্রতারনা করে আসছেন।
জুলফু মিয়া অষ্টম শ্রেণি পাশ না করেও নামের পূর্বে ডা: ও এমবিবিএস সহ
বিভিন্ন ডিগ্রী লিখে ডায়াবেটিস, মেডিসিন, বাত ব্যাথা ও অর্শ্বরোগ
বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে রোগীদের চোখে ধূলা দিয়ে তিনি এ অপকর্ম করে আসছিলেন। তার
অপচিকিৎসা নিয়ে গত কয়েক বছর পূর্বে সমকাল সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয়
দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ করলে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন তাকে ডেকে পাঠিয়ে আটক
করলে তিনি এ কাজ না করার মুছলেকা দিয়ে রেহাই পান। পরে কয়েক মাস পরে তিনি
আবার পূনরায় এ কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত
জুলফু মিয়ার ডায়াবেটিস সেন্টারে হানা দিয়ে তার ভিজি কার্ড,
প্যাথলজিষ্টদের সিল, ডাক্তার প্যাড, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও ইন্সটিটিউট
এর কম্পিউটারে তেরী ভূয়া সনদ জব্দ সহ তাকে আটক করে ইউএনও'র কার্যালয়ে
নিয়ে আসে। খবর পেয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল
অফিসার ডাক্তার মো: খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জুলফু মিয়ার
চিকিৎসা সনদপত্র দেখে তা ভূয়া বলে নিশ্চিত করেন।
ইউএনও কাজী মো: চাহেল তস্তরী  জানান, আটককৃত জুলফু মিয়া একজন শঠ,
প্রতারক, ও ভূয়া চিকিৎসক। চিকিৎসার নামে সে দীর্ঘ দিন যাবত অপচিকিৎসা
চালিয়ে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে প্রতারনা করে আসছিলো।

No comments