Header Ads

তীব্র শীতে চাটখিলে নিউমোনিয়া ও শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ: শতাধিক শিশু আক্রান্ত হাসপাতালে রোগীদের ঔষধ দিচ্ছেনা।

আনোয়ারুল হায়দার, চাটখিল (নোয়াখালী): তীব্র শীতে চাটখিলে শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ প্রোকট আকার ধারন করেছে। গত এক সপ্তাহে তীব্র শীতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় শতাধিক শিশু ও নবজাতক ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক শিশু চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে ঔষধ সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ভর্তি রোগীদের কোন ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না বলে রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা ছাড়া কোন চিকিৎসা সেবা মিলছে না বলে একাধিক রোগীর অভিযোগ। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও শিশু ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগী জান্নাতুল ফেরদাউস (১০মাস)এর মা ইয়ামিন (২০), মীম (১) এর মা মিলি (১৯), ফাহাদ হোসেন (২মাস)এর অভিভাবক আবদুল মন্নান, রাইসা (১৮মাস) এর পিতা রিপন, দীপ্তি (১) এর বাবা দেলোয়ার হোসেন, রাহেল (৫মাস) এর পিতা রাশেদ জানান, হাসপাতালে ভর্তি হতে জরুরী ভিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসা সহকারী নজরুল ইসলাম রোগী প্রতি ১০০টাকা হারে দাবী করলে ৫০টাকার নিচে কাউকে ছাড় দেন না। জসড়া গ্রামের রিপন ও রেজ্জাকপুর গ্রামের কবির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে আমার শিশু কন্যা রাইসাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ খোরশেদ আলমের শরনাপন্ন হলে তিনি হাসপাতাল কার্যালয়ে ব্যাবস্থাপত্র লিখে দিয়ে ২০০টাকা দাবী করলে আমরা ১৫০টাকা দেই। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ব্যাবস্থাপত্র রেখে দেন। পরে ২০০টাকা দিয়ে রোগীর চিকিৎসাপত্র নেই।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের অভিযোগ জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে ও ভর্তি হতে রোগীদের কাছ থেকে টাকা ছাড়া কোন সেবা দেওয়া হয় না। নার্স ও কর্মচারীদের টাকা না দিলে কাঙ্খিত সেবা ও সরকারী ঔষধ মেলে না। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের নেবুলাইজার ও আইভি ক্যানুলা দিতে জোরপূর্বক টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে হাসপতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ও জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার না থাকায় হাসপাতালে আসা সব ধরনের রোগীদের ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন জরুরী বিভাগে সার্বক্ষর্ণিক দায়েত্বে থাকা একজন চিকিৎসা সহকারী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ খোরশেদ আলমের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ খলিল উল্যাহ বলেন, হাসপতালে নেবুলাইজার ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নাই, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতালে রয়েছে।

No comments