Header Ads

নোয়াখালী-১ আসনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে

মোঃ শোয়েব ভুলুঃ আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয়
সংসদের ২৬৮ নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ ও
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীগন
পোস্টার দিয়ে, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ এবং গনসংযোগ করে চলেছেন।
চাটখিল উপজেলা এবং সোনাইমুড়ীর বারগাঁও, নাটেশ্বর ও আম্বরনগর ইউনিয়ন
ব্যতিত ১ পৌরসভা ও ৭ ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ
৪৬ হাজার ৯০১। গত নির্বাচনে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ
এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের এইচ, এম,
ইব্রাহিম এর চেয়ে ২৪ হাজার ৭২২ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। এ আসনটি
বিএনপি অধ্যূষিত। তাছাড়া আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, সমর্থক থাকলেও মনোনয়ন
প্রত্যাশীদের ভীড়ে নেতাকর্মীরা বিভক্ত। এ আসন পূনরূদ্ধারে কোন চেষ্টা না
করে আওয়ামীলীগের নেতারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। এ কারনে কয়েক মাস আগে
চাটখিল উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক
নির্বাচিত হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। এ নিয়ে মাঠ পার্যায়ে অনেক
আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে।

বিএনপি থেকে এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সাংসদ
এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন কামরান, মেট্রো গ্র"পের স্বত্ত্বাধীকারী আমিন
আহমেদ ভূইয়া ও মাঈন উদ্দিন তিতাস। এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন কামরান পোস্টার
দিয়ে, নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ এবং গনসংযোগ করছেন। আমিন আহমেদ ভূইয়ার
নাম ব্যাপক ভাবে আলোচিত হলেও তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। মাঈন উদ্দিন
তিতাসও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।

আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন
শারমীন চৌধুরী, এইচ এম ইব্রাহিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা ও
ডাকসুর সাবেক ভারপ্রাপ্ত ভিপি গোলাম কুদ্দুছ, প্রধান মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত
সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, চাটখিল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর
ও খন্দকার রুহুল আমিনের নাম শুনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ২টি সরকারী
অনুষ্ঠানে চাটখিলে গিয়ে ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী ব্যাপক গনসংযোগ এবং ঢাকায়
বসবাসরত চাটখিলের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে যোগাযোগ ও মতবিনিময়
করায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে তার নাম ব্যাপক ভাবে আলোচিত হচ্ছে। এইচ
এম ইব্রাহিম নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে চলেছেন। গোলাম কুদ্দুস এলাকায়
গিয়ে নেতাকর্মীদের খোজখবর নিয়েছেন, গনসংযোগ ও দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহন
করেছেন। জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এলাকায় অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ
করেছেন। প্রতিনিয়ত এলাকায় গিয়েছেন। নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা
করেছেন। তাছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে পার্টির প্রভাবশালী নেতা সাবেক মন্ত্রী
ও এমপি এ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান, জেএসডি থেকে ফরিদ আহম্মেদ ভুইয়া অথবা
আনোয়ার হোসেনা এবং জাসদ থেকে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ মনোনয়ন চাইবেন।

No comments