Header Ads

চাটখিলে নিহত শিবির কর্মীর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে রোববার আধাবেলা হরতাল

চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতাঃ গত ২৮ অক্টোবর ১৮দলীয় জোট আহুত ৭২ ঘন্টা
হরতালের দ্বিতীয় দিন পুলিশের সঙ্গে জামাত শিবিরের গোলাগুলির ঘটনায়
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিবির কর্মী মাহমুদুল হোসাইনের (১৮) লাশ নিয়ে জামাত
শিবির বৃহষ্পতিবার বিকেলে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২৪ দিন পর বুধবার সকালে মাহমুদুল হোসাইন ঢাকার একটি
বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে
জামাত শিবির আগামী রোববার নোয়াখালী জেলায় আধা বেলা হরতাল ডেকেছে।
জানা যায়, বৃহষ্পতিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে ময়না তদন্ত
শেষে বিকেল সাড়ে চারটার সময় একটি এ্যাম্বলেন্স যোগে মাহমুদুল হোসাইনের
লাশ চাটখিল দক্ষিণ বাজার সোনালী ব্যাংক চত্তরে পৌঁছায়। এদিকে লাশ
পৌঁছানোর পূর্বে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পিকআপ, ট্রাক ও মোটর সাইকেল
যোগে কয়েক হাজার নেতা কর্মী চাটখিল পৌর সদরে এসে সমবেত হয়। লাশ সামনে
রেখে জামাত শিবির কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা জামাত আমীর মাও. সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
শিবির নেতা জাকির হোসাইন সেলিম, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ আজগর আলী, জামাত
নেতা মফিজুল ইসালাম, সাইয়্যেদ আহম্মেদ, বিএনপি নেতা ও পৌর মেয়র মোস্তফা
কামাল, আনোয়ার হোসেন, জামাত নেতা মাও. মুনিরুজ্জামান, নজরুল ইসলাম ভঁইয়া,
মাও. মহিউদ্দিন হাসান, মাও. রুহুল আমিন, আশ্রাফুল ইসলাম আরজু প্রমুখ।
বক্তারা নিহত শিবির কর্মীর হত্যাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবী
জানান নতুবা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন এবং এ সমাবেশ থেকে আগামী রোববার
নোয়াখালী জেলায় আধাবেলা হরতাল আহ্বান করেন।।
জানাজা শেষে সন্ধ্যায় লাশের কফিন সহ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জামাত শিবির
কর্মীরা মাহমুদুল হোসাইনের বাড়িতে যায় এবং পারিবারিক গোরস্তানে তার দাফন
সম্পন্ন করে।
এ দিকে গত বুধবার রাত থেকে চাটখিলে তিন প্লাটুন বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ
মোতায়েন করা হয়।

No comments