Header Ads

চাটখিলে গুলিবিদ্ধ শিবির কর্মীর মৃত্যু

আনোয়ারুল হায়দার, চাটখিল (নোয়াখালী)ঃ গত ২৮ অক্টোবর ১৮ দল আহুত হরতাল
চলাকালীন সময়ে নোয়াখালীর চাটখিল পৌর শহরে জামাত-শিবিরের সঙ্গে পুলশের
গুলি বিনিময়ের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ শিবির কর্মী মাহমুদুল হোসাইন (১৮) আজ
বুধবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত
শিবির কর্মী চাটখিল পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের চাটখিল গ্রামের প্রবাসী খোরশেদ
আলমের ছেলে।
চাটখিল থানার ওসি ইব্রাহীম খলিল জানান, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
দাবীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আহুত ৭২ ঘন্টা হরতালের দ্বিতীয়
দিন সকালে শিবির কর্মীরা মিছিল শেষে বেলা ১১টার সময় চাটখিল-সোনাইমুড়ি
আঞ্চলিক মহা সড়কে আল-বারাকা পরিবহন ও বলাকা বাস কাউন্টারের সামনে
অবস্থানরত পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি
ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় শিবিরের
সাথে অন্যান্য সন্ত্রাসীরাও যোগ দেয়। ত্রি-মুখী সংঘর্ষে মাহমুদুল হোসাইন
ও মাহমুদুর রহমান সবুজ নামের দুই শিবির কর্মী সহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়।
নিহত শিবির কর্মী হোসইনের বুকে ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তাকে উদ্ধার করে
প্রথমে চাটখিল ইসলামীয়া হাসপাতালে ও পরে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির ২৪ দিন পর আজ বুধবার সকাল
আটটার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ চাটখিলে
ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জামাত-শিবির নেতা কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও
উত্তেজনা দেখা দেয়। ছেলের মৃত্যুতে মা ফাতেমা বেগম বার বার মূর্ছা
যাচ্ছেন। কারো সঙ্গে কোন কথা বলছেন না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা
৬টা) নিহতের লাশ ঢাকা থেকে নোয়াখালীর পথে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সৌদী প্রবাসী খোরশেদ আলমের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে হসোইন ছিল তৃতীয়। সে
নোয়াখালী মাদ্রাসাতুল দ্বিনীয়ার আলীম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। চাটখিল
উপজেলা জামাত আমীর মাও. সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারী মাও. মুনিরুজ্জামান ও
উপজেলা শিবির সভাপতি আজগর এ হত্যাকান্ডের জন্য উপজেলা ছাত্রলীগ ও
যুবলীগকে দায়ী করেছেন। অবশ্য উপজেলা যুবলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন জামাতের এ
দাবী প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ঘটনার দিন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোন
নেতা-কর্মী রাস্তায় ছিল না।

No comments