Header Ads

চাটখিল গার্লস স্কুলের সেই শিক্ষককে বান্দরবানে বদলী

আনোয়ারুল হায়দার, চাটখিল (নোয়াখালী)ঃ চাটখিল সরকারী বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফখরুল ইসলামের ইচ্ছামত বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া,
ক্লাস ফাঁকি দেওয়া, শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁক করে বাণিজ্যের অভিযোগ সহ নান অনিয়মের প্রতিবাদ
করায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে
শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করা, শ্লীলতাহানী ও
হত্যার হুমকির অভিযোগে তাকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলা সালেহ
আহম্মেদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে।
গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক
প্রফেসর ফাহিমা খাতুন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
ফখরুলের বদলীর খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে
স্বস্থি ফিরে আসে।
জানা যায়, কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক ফখরুল ইসলাম ১৯৯৫ সালে
চাটখিল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। চাকুরীতে যোগদানের পর
থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত
তিনি প্রাইভেট বাণিজ্যে লিপ্ত থাকেন। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশী (১৮ বছর) সময়
তিনি এ বিদ্যালয়ে চাকুরী করার সুবাদে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। শিক্ষার্থী
ও অভিভাবকদের জিম্মি করে তিনি তার নিকট প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। প্রতি
ব্যাচে তিনি ৬০/৭০জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান। যে সকল শিক্ষার্থী তার
কাছে প্রাইভেট না পড়ে তাদেরকে তিনি বার্ষিক পরীক্ষা সহ বিভিন্ন পরীক্ষায়
অংক, ইংরেজিতে অকৃকার্য দেখান।
ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে মোটা অংকের
বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠলে এ নিয়ে সমকাল সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ
প্রকাশিত হলে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। মোটা অংকের টাকা দিয়ে তদন্ত কমিটিকে
প্রভাবিত করে তিনি পার পেয়ে যান। সাম্প্রতি তিনি চাটখিল পৌর সদরে অর্ধ
কোটি টাকার জমি কিনেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ফখরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ভাপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষিকা লিলিকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করা ও শ্লীলতাহানি-হত্যার হুমকির
অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ফখরুলের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের হয়।
এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এ ব্যাপারে
শিক্ষক ফখরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে
অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে পূনরায় এ বিদ্যালয়ে
যোগদান করবেন বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক সামসুন্নাহার লিলি ফখরুলের বদলীর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি
গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে অনুনোমদিত অনুপস্থিত রয়েছেন। শুনেছি তিনি তার
বদলী আদেশ ফেরানোর জন্য তদ্বীর করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। আমি তাকে
বিদ্যালয়ে গতকাল অনুপস্থিত দেখিয়েছি।

No comments