Header Ads

চাটখিলে গুলিবিদ্ধ যুবদলকর্মী মারা গেছে

চাটখিল (নোয়াখালী): চাটখিলে গুলিবিদ্ধ যুবদলকর্মী আবুল কালাম সাজু (৩০)
গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
মারা গেছেন। তিনি উপজেলার রুহিতখালী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। গত ১৫
মে রাতে কালিকাপুর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে স্থানীয় মাদক সম্রাট ও
চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম বাবু প্রকাশ দাদা বাবু তার বাড়িতে
মুঠোফোনে সাজুকে ডেকে নিয়ে গুলি করে গুরুতর আহত করেছিলো।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামনারায়নপুর
ইউনিয়নের খেজুর তলা এলাকার ডিশ ক্যাবল অপারেটর স্থানীয় যুবদলকর্মী আবুল
কালাম সাজুর সঙ্গে একই ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম বাবুর মাদক ব্যবসা নিয়ে
বিরোধ চলছিলো। ওই ঘটনার জের ধরে গত ১৫ মে রাত ৮টার সময় দাদা বাবু সাজুকে
মুঠোফোনে তার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। নিহত সাজুর এক আত্মীয় মনির, বন্ধু মঞ্জু
সহ অনেকে জানান, ঘটনার দিন রাতে সাজু দাদা বাবুর,ফোন পেয়ে কালিকাপুর
গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে বাবুর বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে সাজুকে
লক্ষ্য করে বাবু ও সাদ্দাম এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে সাজুর পেটে, ডান হাতে
ও পিঠে ৩ রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে
প্রথমে নিকটস্থ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে নোয়াখালী শহরের এশিয়া
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫দিন পূর্বে সাজুকে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে অপারেশনের
মাধ্যমে তার শরীর থেকে গুলি বের করার সময় ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২৮দিন পর
তিনি মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার
রাতে সাজুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাজুর লাশ বাড়িতে পৌঁছালে তার মা মনোয়ারা বেগম, বাবা গোলাম মোস্তফা
পুত্র শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। স্ত্রী সুমি (২০) স্বামীর শোকে পাথর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহত সাজুর এক ঘনিষ্ঠ জানান এক সময় সাজু মাদক ও
অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। গত বছর দেড়েক আগে ওই পেশা ছেড়ে দিয়ে
এলাকায় ডিশ ব্যবসা শুরু করেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই কারনেই দাদা বাবু
সাজুকে খুন করে। স্থানীয় রামনারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভুট্টু
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পেয়ার
আহম্মেদ (ভিপি পেয়ার) নিহত সাজুকে যুবদলের কর্মী দাবী করে এ হত্যাকান্ডের
তীব্র নিন্দা করে বিচার দাবী করেন। চাটখিল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত)
আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত সাজু ও দাদা বাবু উভয়ই
চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। মাদকের টাকা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র
করেই এ ঘটনা ঘটেছে। চাটখিল থানার ওসি মো: নাসিম উদ্দিন জানান, সাজু
হত্যাকান্ডের বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পড়েনি।

No comments