Header Ads

চাটখিলে শিশু ধর্ষণ, কোচিং সেন্টারে তালা, এলাকায় উত্তেজনা

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিলে গত রোবরার ৫ম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছ্।ে ধর্ষক স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর লম্পট পলাতক রয়েছ্।ে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এতে স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসির মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।  
স্থানীয় লোকজনের বিবরন অনুযায়ী গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার সময় শিশু শিক্ষার্থীটি নোয়াখলা ইউনিয়নের শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রাইট ফিউচার কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় সুযোগ বুঝে কোচিং সেন্টারের পরিচালক ঘাসীপুর গ্রামের মৃত: লুৎফুর রহমানের ছেলে লম্পট সাইফুল ইসলাম কিরন (৩০) কৌশলে ছাত্রীটিকে কোচিং সেন্টারের একটি কক্ষে নিয়ে  জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহত করে। বাড়ি গিয়ে সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে শিক্ষার্থীর পিতা ও এলাকাবাসী গিয়ে কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে শিশুটির পরিবার থানা পুলিশে অভিযোগ দিতে পারেনি।
শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন (৬০), কাজল (৪৫), জাহাঙ্গীর আলম সেলিম (৪৫), বাহার আলম মেম্বার (৫০), মোরশেদ আইয়ুব স্বপন (৪৫), রুহুল আমিন পাটারী (৫৫) সহ অনেকেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লম্পট কিরন তার এ কোচিং সেন্টারে ইতোপূর্বে এধরনের একাধিক ঘটনা ঘটালেও লোক লজ্জার ভয়ে অনেকেই মুখ খোলেনি। ধর্ষকের এক ভাই নোয়াখলা ইউপির প্রভাবশালী   সদস্য হওয়ায় ওই সকল ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে ইউপি মেম্বার মাসুদ ধর্ষকের চাচাতো ভাই এবারোও এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবী লম্পট কিরনকে গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া না হলে তারা বড় ধরনের আন্দলনে নামবে।  
স্থানীয় নোয়াখলা ইউপি চেয়ারম্যন ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। চাটখিল থানার ওসি মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

No comments